71st Republic Day 2020 Bengali Speech
স্বাধীন ভারতের ৭১ তম প্রজাতন্ত্র দিবস
নানা বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ এই মাতৃভূমি ভারতবর্ষ। ভূ-প্রকৃতি,জাতি, ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, আচার ব্যবহার ইত্যাদিতে নানান বৈচিত্র্যে পরিলক্ষিত হয় আমাদের এই ভারতবর্ষে।
এজন্য ঐতিহাসিকরা ভারতবর্ষকে বিশ্বের সারাংশ বলে অভিহিত করেছেন।
বিশ্বকবির কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছে-" নানা ভাষা নানা মত, নানা পরিধান বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।"
ভারতবর্ষ আসমুদ্র হিমাচলব্যাপী বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য যার আদর্শ অতি প্রাচীন কাল হতে ভারতীয় মুনি ঋষি, দার্শনিক,শাস্ত্রকার, সাহিত্যিকদের অন্তরে প্রেরণা সঞ্চয় করে এসেছে নতুনত্বের সৃষ্টির আহ্বানের আকর্ষণে।
কিন্তু তার মাঝে মাতৃভূমি সহ্য করেছিল ১৯০ বছরের (১৭৫৭-১৯৪৭) ব্রিটিশ যন্ত্রনা কিন্তু দেশ মায়ের বীর সন্তানদের ক্রমাগত আন্দোলন ও আত্মবলিদানে মা কে জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠত্বের আসন এনে দিয়েছেন..... ১৯৪৭ সালে ১৫ই আগষ্ট ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়।
কিন্তু স্বাধীনতার ঠিক একবছর আগে ভারতবাসীর স্বাধীনতা ও সংবিধানের দাবি পূরণ করতে ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ সরকার সংবিধান সভা গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করে।
মন্ত্রী মিশনের প্রস্তাব অনুসারে ভারতীয় সংবিধান রচনার জন্য ভারতীয় গণপরিষদ তৈরি হয় ২৯৬ জন সদস্য সংখ্যা নিয়ে এবং ১৯৪৬ সালে ৯ই ডিসেম্বর দিল্লিতে গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে, সভাপতিত্ব করেন সচ্চিদানন্দ সিংহ (অস্থায়ী), ১১ই ডিসেম্বর থেকে স্থায়ী সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ।
স্বাধীন ভারতে ১৯৪৭ সালে ২৯ এ আগষ্ট সংবিধান রচনার জন্য খসড়া কমিটি গঠিত হয় ডঃ ভীভরাও রামজি আম্বেদকরের নেতৃত্বে ছয় জন সদস্য নিয়ে।
১৯৪৯ সালে ২৬ শে নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ সংবিধান গনপরিষদে গৃহীত হয়।
১৯৫০ সালে ২৬ শে জানুয়ারি স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়; যা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
যা আজ সাধারণ তন্ত্র বা প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day) হিসেবে আমরা প্রতিবছর সাড়ম্বরে পালন করা হয়।
অন্যদিকে এই দিনটির আরেক ঐতিহাসিক গুরুত্ব যে পরাধীন ভারতে ১৯৩০ সালে থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ২৬ জানুয়ারি দিনটি ভারতীয়রা স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করেছিল। তাই দিনটি আজ ও আমাদের মনের মন্দিরে পূজিত হয়। ভারতমাতার সহস্র কোটি সন্তানদের কাছে ২৬ শে জানুয়ারি দিনটি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয় এবং উদযাপন করা হয়।
কারন সংবিধান অনুসারে "সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গনতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্রিক" দেশ আমাদের ভারতবর্ষ।
এই দিনটির মধ্যে দিয়ে আমরা সংবিধানের আদর্শ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পতাকা, জাতীয় স্তোত্র ও ভারতমাতার বীর সন্তানদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
জয় হিন্দ .... বন্দে মাতরম
- ভারতমাতার সন্তান
আদি
নানা বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ এই মাতৃভূমি ভারতবর্ষ। ভূ-প্রকৃতি,জাতি, ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, আচার ব্যবহার ইত্যাদিতে নানান বৈচিত্র্যে পরিলক্ষিত হয় আমাদের এই ভারতবর্ষে।
এজন্য ঐতিহাসিকরা ভারতবর্ষকে বিশ্বের সারাংশ বলে অভিহিত করেছেন।
বিশ্বকবির কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছে-" নানা ভাষা নানা মত, নানা পরিধান বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।"
ভারতবর্ষ আসমুদ্র হিমাচলব্যাপী বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য যার আদর্শ অতি প্রাচীন কাল হতে ভারতীয় মুনি ঋষি, দার্শনিক,শাস্ত্রকার, সাহিত্যিকদের অন্তরে প্রেরণা সঞ্চয় করে এসেছে নতুনত্বের সৃষ্টির আহ্বানের আকর্ষণে।
কিন্তু তার মাঝে মাতৃভূমি সহ্য করেছিল ১৯০ বছরের (১৭৫৭-১৯৪৭) ব্রিটিশ যন্ত্রনা কিন্তু দেশ মায়ের বীর সন্তানদের ক্রমাগত আন্দোলন ও আত্মবলিদানে মা কে জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠত্বের আসন এনে দিয়েছেন..... ১৯৪৭ সালে ১৫ই আগষ্ট ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়।
কিন্তু স্বাধীনতার ঠিক একবছর আগে ভারতবাসীর স্বাধীনতা ও সংবিধানের দাবি পূরণ করতে ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ সরকার সংবিধান সভা গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করে।
মন্ত্রী মিশনের প্রস্তাব অনুসারে ভারতীয় সংবিধান রচনার জন্য ভারতীয় গণপরিষদ তৈরি হয় ২৯৬ জন সদস্য সংখ্যা নিয়ে এবং ১৯৪৬ সালে ৯ই ডিসেম্বর দিল্লিতে গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে, সভাপতিত্ব করেন সচ্চিদানন্দ সিংহ (অস্থায়ী), ১১ই ডিসেম্বর থেকে স্থায়ী সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ।
স্বাধীন ভারতে ১৯৪৭ সালে ২৯ এ আগষ্ট সংবিধান রচনার জন্য খসড়া কমিটি গঠিত হয় ডঃ ভীভরাও রামজি আম্বেদকরের নেতৃত্বে ছয় জন সদস্য নিয়ে।
১৯৪৯ সালে ২৬ শে নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ সংবিধান গনপরিষদে গৃহীত হয়।
১৯৫০ সালে ২৬ শে জানুয়ারি স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়; যা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
যা আজ সাধারণ তন্ত্র বা প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day) হিসেবে আমরা প্রতিবছর সাড়ম্বরে পালন করা হয়।
অন্যদিকে এই দিনটির আরেক ঐতিহাসিক গুরুত্ব যে পরাধীন ভারতে ১৯৩০ সালে থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ২৬ জানুয়ারি দিনটি ভারতীয়রা স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করেছিল। তাই দিনটি আজ ও আমাদের মনের মন্দিরে পূজিত হয়। ভারতমাতার সহস্র কোটি সন্তানদের কাছে ২৬ শে জানুয়ারি দিনটি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয় এবং উদযাপন করা হয়।
কারন সংবিধান অনুসারে "সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গনতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্রিক" দেশ আমাদের ভারতবর্ষ।
এই দিনটির মধ্যে দিয়ে আমরা সংবিধানের আদর্শ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পতাকা, জাতীয় স্তোত্র ও ভারতমাতার বীর সন্তানদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
জয় হিন্দ .... বন্দে মাতরম
- ভারতমাতার সন্তান
আদি
Comments
Post a Comment